বিয়ের খরচ থেকে অর্থ বাঁচিয়ে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার উদ‍্যোগ দুই সমাজকর্মীর

7th April 2020 বর্ধমান
বিয়ের খরচ থেকে অর্থ বাঁচিয়ে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার উদ‍্যোগ দুই সমাজকর্মীর


নিজস্ব সংবাদদাতা ( জামালপুর ) : আগামী ১৭ ই এপ্রিল বিবাহের নির্ধারিত দিন । আয়োজন ও সমস্ত কিছু প্রায় শেষ । নিমন্ত্রণ পর্ব অনেকটাই হয়ে গিয়েছে আত্মীয়দের । কিন্তু তারপরেই শুরু হয়েছে লকডাউন করোনা সংক্রমণ রোধে । গোটা রাজ‍্য জুড়ে চলছে লকডাউন । স্বাভাবিকভাবেই বিবাহের আড়ম্ভর কোনভাবেই সম্ভব নয় । এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । প্রশাসনের উদ‍্যোগে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরী করে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের । পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের গোপালপুর মুক্তকেশী উচ্চ বিদ‍্যালয়েও আটকে রয়েছেন সাড়ে তিনশোর বেশী ভিন রাজ‍্যের বাসিন্দা । যারা লকডাউনের সময় পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন । গোটা দেশ তথা রাজ‍্যের সামনে গভীর সংকট । তাই এই সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার উদ‍্যোগ গ্ৰহণ করলেন আবুঝহাটি এলাকার দুই সমাজকর্মী অরিজিৎ পাল ও সংগীতা ঘোষ । তাদের বিবাহ উপলক্ষে যে আয়োজন করা হয়েছিল তা স্থগিত । আগামী ১৭ ই এপ্রিল শুধু বিবাহ এর কাজটুকু হবে । আসবেন না আমন্ত্রিতরা । সেই অর্থ থেকে নানা খাদ‍্য সামগ্ৰী তারা তুলে দেবেন ব্লক প্রশাসনের হাতে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আটকে থাকা মানুষের জন‍্য । জামালপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মজুমদারের সাথে দেখা করে দুই সমাজকর্মী জানিয়েছেন তাদের ইচ্ছার কথা । সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও । অরিজিৎ ও সংগীতা র ইচ্ছা পূরণের উদ‍্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বিডিও । জীবনে একসাথে চলার পথে র শুরুতেই এই প্রয়াস গ্ৰহণ করতে পেরে খুশি উভয়েই । পাত্র ও পাত্রী উভয়েই আবুঝহাটি পঞ্চায়েত  এলাাকার । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।